যে কার্বন বিপর্যয়ের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার সাধ্য নেই আমাদের
আসুন, প্রাণপ্রকৃতি, জনস্বাস্থ্য, জাতীয় অর্থনীতি ও বৈশ্বিক জলবায়ু রক্ষার্থে বাংলাদেশকে জীবাশ্ম জ্বালানীমুক্ত রাখি।
মিৎসুবিশি, জেরা, জাইকা ও জেনারেল ইলেক্ট্রিক চট্টগ্রামে একটি ‘কার্বন বোমা’ তৈরি করার পথে আছে, যার জলবায়ুগত ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা বাংলাদেশের পক্ষে তো সম্ভব নয়ই, এমনকি গোটা বিশ্বের পক্ষেও অসম্ভব। একইসাথে প্রকল্পটি জীববৈচিত্র্য ও স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্যও জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।
চট্টগ্রামে প্রস্তাবিত কয়লা ও এলএনজি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর সম্মিলিত উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ২০ গিগাওয়াট। এই প্রকল্পগুলো:
স্থানীয় বাসিন্দাদের গল্প
স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবন-জীবিকা ও চট্টগ্রামের জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে এবং জলবায়ু পরিবর্তন রোধের লক্ষ্যে জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক প্রকল্পগুলো বন্ধের দাবি জানিয়ে জেনারেল ইলেক্ট্রিক, মিৎসুবিশি, জেরা, ও জাইকা সহ অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে ইমেইল করুন।
মানচিত্রে চট্টগ্রামে প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলোর অবস্থান।
চট্টগ্রাম অঞ্চলে জ্বালানি উৎপাদন পরিকল্পনাঃ সম্ভাব্য কার্বন বিপর্যয়
পাহাড়, গহীন বন ও নয়নাভিরাম সমুদ্রসৈকতের জন্য বিখ্যাত চট্টগ্রামে গড়ে তোলা হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম কার্বন বিপর্যয়। চট্টগ্রামকে কেন্দ্র করে জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কিছু প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধির পরিকল্পনা করছে।
তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে দেশের মোট জীবাশ্ম জ্বালানির দুই তৃতীয়াংশই পুড়বে এই চট্টগ্রামে।